হজ্বের প্রস্তুতি নিন

প্রকাশঃ জুলাই ২৯, ২০১৫ সময়ঃ ১০:০০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:০০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

hzআর ক`দিন পরেই শুরু হচ্ছে হজ্ব। যারা `লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক` নামক স্বর্গীয় সূধার অপূর্ব ছন্দে গাইবে গান, তাদের জন্য সুখবর। তারাই যাবে খোদার প্রেমের সরাব পান করতে পূণ্যভূমি মক্কায়। যেখানে ফুলের মালা সমেত অভ্যর্থনায় থাকবে ফিরিশতাকূল। একত্রিত হবে মুসলিম মিল্লাত।

হজ্ব হচ্ছে বিশ্ব মুসলমানের আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত। যা আল্লাহ তাআলা কর্তৃক ফরজ ইবাদত। যে ব্যক্তি সম্পদশালী এবং শারিরীক সামর্থ্যবান তার ওপর জীবনে একবার হজ্জ ফরজ। যা তরক করলে গুনাহগার হতে হবে। এ হজ্বের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইসলামের নাড়ীর সম্পর্ক। হজের স্থান হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম ইবাদতগৃহ ও বিশ্ব মুসলিমের মিলনমেলার কেন্দ্রস্থল। যে পূণ্যভূমিতে বিচরণ করেছে অগনিত অসংখ্য নবী ও রাসূল। সে তীর্থভূমিতে কাবা-ঘর নামক আল্লাহর ঘরে জীবনে একবার হলেও শির লুটিয়ে দিতেই একত্ববাদের প্রেমিকরা আত্মহারা পাগলপারা। তাইতো আল্লাহ তার সামর্থ্যবান প্রেমিকেদের জন্য বায়তুল্লায় উপস্থিত হয়ে হ্জ করা ফরজ করেছেন।

হজে গমনের আগে আল্লাহ প্রেমিক বান্দাদের নিজেকে তৈরি করে নেয়া হচ্ছে মূল কাজ। কারণ হজ্ব অনেক পরিশ্রমের ইবাদত। যা ইহরামের মাধ্যমে শুরু হয় এবং কুরবানির মাধ্যমে শেষ হয়।

হজে গমণের পূর্বে করণীয়
ক. বৈধ অর্থের উৎস থেকেই হজ্বের সব ধরনের খরচের আঞ্জাম দেয়া
খ. ইহরামের পোশাক ক্রয় করা
গ. পাসপোর্ট ও অর্থ রাখার জন্য কোমরবন্দ সংগ্রহ করা
ঘ. পাড়া-পড়শিসহ নিকটআত্মীয়দের কাছ থেকে দায়-দাবি মুক্ত হওয়া
ঙ. অসিয়ত থাকলে ওসিয়তনামা তৈরি করে রাখা
চ. ঋনগ্রস্ত হলে ঋণ পরিশোধ করা
ছ. দুনিয়াবী সব ধরনের সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া
জ. ইবাদত-বন্দেগির পরিমাণ বাড়িয়ে আত্মা বা দিলকে আল্লাহর প্রেমের উপযোগী করে তোলা
ঝ. নামাজ, ইহরাম, বায়তুল্লাহ তাওয়াফ, সাফা-মারওয়া সায়ীর দুআ’-কালাম শিখে নেয়া
ঞ. গুরুত্বপূর্ণ আমল ও দোয়া এখন থেকেই শিখে নেয়া
ট. হজের তলবিয়া সহিহ শুদ্ধ করে মুখস্ত করে নেয়া। সর্বোপরি হজ্বে গমনের মনে হচ্ছে মৃত্যুর জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে বায়তুল্লাহর উদ্দেশ্যে রওয়া হওয়া; হতে পারে এই যাত্রাই একজন আল্লাহ প্রেমিকের জীবনের শেষ যাত্রার প্রস্তুতি।

হজের পূর্বেই যা ত্যাগ করবে
ক. সব ধরনের মোহ, লোভ-লালসা ত্যাগ করা
খ. সব ধরনের পাপ কাজ হতে বিরত থাকা
গ. এ যাত্রা শেষ যাত্রা মনে প্রস্তুতি গ্রহণ করা
ঘ. আভিজাত্য, পদমর্যাদা, গর্ব ও অহংকার ত্যাগ করা
ঙ. তাড়াহুড়া ও উদাসিনতাভাব ত্যাগ করা
চ. দুনিয়াবী সব ধরনের অন্যায় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা

আর এভাবেই হজের মাধ্যমে বিচার-দিবস ও কিয়ামত তথা পুনরুত্থানের মহড়া তথা হাশরের ময়দানের মহড়ার শিক্ষা নেয়ার মানসিকতা তৈরি করা।

সুতরাং হজে গমনের নিয়্যতকারী প্রত্যেক মুসলমান যাতে হজের প্রস্তুতি নেয়া একান্ত জরুরি। আল্লাহ সবাইকে হজ্বের প্রস্তুতি নেয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন ।

প্রতিক্ষণ / এডি/ মেহেদী

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G